কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়






আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে রয়েছে কিভাবে আপনি আপনার টাকা সেভ করতে পারেন এবং কিভাবে আপনি কোটিপতি হতে পারেন আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে ভাই ব্লক দিতে খুব ভালো করে আলোচনা করা হবে আমাদের সাথেই থাকুন


আজকের এই লেখায়, আমি অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়া লোকদের কৌশলগুলো আলোচনা করবো। তারা কীভাবে অল্প বয়সে কোটিপতি হয়েছেন, সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে। আপনি কি জানেন, পৃথিবীর ৩য় ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট এর 5টি বিস্ময়কর তথ্য। অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায় অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার আলোচনা শুরু করার আগে, জেনে নেওয়া যাক যারা কম বয়সে কোটিপতি হয়েছেন তারা কি কাজ করতো। মার্ক জুকারবার্গ – ফেসবুক কাইলি জেনার – কসমেটিক ব্যবসা ক্যাথরিন কুক – মাই ইয়ার বুক আলেক্সান্দ্রা অ্যান্ড্রেসেন – বিনিয়োগ ফার্ম মাইকেল ডেল – ডেল কম্পিউটার ম্যাট মিকিউইকিজ – 99 ডিজাইন এবং ফ্লিপা জুলিয়েট ব্রিন্দাক – মিস ও ও ফ্রেন্ডস জেরমাইন গ্রিগস – হেয়ার এন্ড প্লে মিউজিক গ্রুপ শন বেলনিক – বিজচেয়ার চরম একটা সত্য কথা হল, তাদের সবার কাজের ধরণ মোটামুটি একই রকম। এখানে কেউ চাকরি করে, কোটিপতি হয়নি। প্রায় সবাই ব্যবসায়ের মাধ্যমে কোটিপতি হয়েছে। তবে, এদের মধ্যে অনেকে মূলধন সংগ্রহের জন্য অনেকে চাকুরী করেছিলেন। যাইহোক এখন আমরা কোটিপতি হওয়ার কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। 


 ১. কোটিপতি হওয়া নির্ভর করে আপনার শুরু করার উপর মজার ব্যাপার হল, আপনি যদি চাকরির বদলে ব্যবসা করেন তাহলে, ৩০ বছর বয়সের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এখন আপনি কিধরণের ব্যবসা করবেন তা নির্ধারণ করে ফেলুন। এবার চলুন আমরা কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা করি যার দ্বারা দ্রুত মূলধন সংগ্রহ এবং টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় ফ্রিল্যান্সিং – এই কাজটি আপনি স্কুলে থাকতে শুরু করতে পারেন। যে কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সে বিষয়ে স্কিল অর্জন করে ফেলুন। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় আর্টিকেল রাইটিং – ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখে দৈনিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। ব্লগিং, ওয়েবসাইট – ব্লগিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়া ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এবং ডোমেইন র্পাকিং করে কোটিপতি হওয়া যায়। ম্যাট মিকিউইকিজ মূলত এই ফর্মুলা প্রয়োগ করেছিলেন। ইউটিউব – এটা কম বয়স থেকে আয়ের একটা বড় মাধ্যম হতে পারে। প্যাসিভ ইনকাম বলা যায় এটাকে। অফলাইনে টাকা আয় করার উপায় পার্ট টাইম জব – পার্ট টাইম জবের ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে এমন কাজ করার যার দ্বারা স্কিল এবং টাকা দুটি বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে উবার, পাঠাওয়ে রাইড শেয়ারিং করে আয় করা যেতে পারে। প্রশিক্ষণ – শিক্ষকতা কিংবা কোন কাজের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে। সার্ভিস প্রদান – আপনার যদি কোন কাজ থাকে সেক্ষেত্রে সে বিষয়ে সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। উপরের কিছু কিছু কাজ আপনি কেবল মূলধন সংগ্রহের জন্য করতে পারেন। কেননা, এখানের অনেক কাজের দ্বারা কোটিপতি হওয়া সম্ভব নয়। 

2. সম্পদ অর্জনের লক্ষ্য তৈরি করুন আর্থিকভাবে সফল হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল সম্পদ অর্জনের লক্ষ্য তৈরি করা। আইনস্টাইন বলেছিলেন যে জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কল্পনা হল আপনার লক্ষ্য। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার ভবিষ্যতের জন্য আপনার কি কল্পনা আছে? আজকেই ঠিক করে ফেলুন – আমি ১ জানুয়ারি, ২০২৩ এর মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা আয় করবো। আমি ২০২১ সালের অক্টোবরের মধ্যে নিজের চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে, ব্যবসা শুরু করবো। এরকম ভাবে লক্ষ্য ঠিক করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। 


৩ মাস অন্তর অন্তর অবস্থা পরিমাপ করুন ৯০ দিন পর আপনার অবস্থা পরিমাপ করুন। ৯০ দিন আগে আপনার অবস্থা কি ছিল এবং এখন কি আছে তা নির্ণয় করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন – কি উন্নতি হয়েছে? আপনি কি জয় হয়েছিলেন? নতুন কি শিখেছেন? কোন কাজটি আপনাকে বেশি আনন্দ দিয়েছে? কোন জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল? 

৪. প্রতিমাসের বাজেট এবং রুটিন তৈরি করুন প্রতি মাসে কত টাকা খরচ করবেন এবং কোথায় খরচ করবেন তা মাসের শুরুতে নির্ধারণ করে ফেলুন। এছাড়া, নিজের কাজের রুটিন করে ফেলুন। অযথা সময়ের অপব্যয় এবং অর্থ খরচ করা বন্ধ করুন। 
৫. অর্থ সঞ্চয় করুন অর্থ সঞ্চয় করার অভ্যাস না থাকলে, আপনার পক্ষে কোটিপতি হওয়া সম্ভব নয়। প্রতিমাসের বাজেট ঘোষণা করার অর্থ আপনার খরচ কমিয়ে আয় বৃদ্ধি করা। সুতরাং, বিলাসী খরচ বাদ দিয়ে, অর্থ সঞ্চয় করুন। এই সঞ্চিত অর্থ পরর্বীতে ব্যবসায়ে বিনোয়গ করুন।

Post a Comment

0 Comments