৩০ দিনে আপনার ডায়াবেটিস ভালো করুন

 আসসালামু আলাইকুম। আপনি কি জানেন, বর্তমানে বিশ্বে নীরব ঘাতক বা সাইলেন্ট কিলার হিসেবে পরিচিত রোগটির নাম কী? হ্যাঁ, সেটি হলো ডায়াবেটিস। শুরুর দিকে আমরা অনেকেই এর লক্ষণগুলো বুঝতে পারি না, আর যখন বুঝি তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়।



আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করবো ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী এবং এটি নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কী ভয়ানক জটিলতা হতে পারে। তাই নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষায় ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।


প্রথমে চলুন জেনে নিই, আপনার শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে কি না, তা বুঝবেন কীভাবে? চিকিৎসকদের মতে, কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।


১. **ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া:** বিশেষ করে রাতের বেলা বারবার বাথরুমে যেতে হলে সতর্ক হন।

২. **প্রচণ্ড পিপাসা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া:** পর্যাপ্ত পানি পানের পরেও যদি গলা শুকিয়ে আসে।

৩. **অস্বাভাবিক ক্ষুধা ও ওজন কমে যাওয়া:** প্রচুর খাওয়ার পরেও যদি দেখেন ওজন দ্রুত কমে যাচ্ছে।

৪. **ক্লান্তি ও দুর্বলতা:** অল্প পরিশ্রমেই যদি শরীর খুব ক্লান্ত লাগে।

৫. **কাটা-ছেঁড়া না শুকানো:** শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে যদি তা শুকাতে অনেক সময় নেয়।

৬. **চোখে ঝাপসা দেখা:** দৃষ্টিশক্তি হঠাৎ কমে যাওয়াও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।


অনেকে ভাবেন, সুগার একটু বেশি থাকলে কী আর হবে! কিন্তু মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এটি শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোকে অকেজো করে দিতে পারে।


* যেমন— **হার্টের সমস্যা।** ডায়াবেটিস রোগীদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি।

* এরপর আছে **কিডনি বিকল হওয়া।** দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, যাকে বলা হয় ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি।

* **চোখের ক্ষতি—** রক্তে উচ্চ শর্করা চোখের রেটিনার ক্ষতি করে, যা অন্ধত্ব পর্যন্ত গড়াতে পারে।

* এবং **পায়ের সমস্যা বা গ্যাংগ্রিন।** পায়ে সামান্য আঘাত থেকে বড় ঘা বা পচন ধরতে পারে, যার ফলে অনেক সময় পা কেটে ফেলতে হয়।


তবে ভয়ের কিছু নেই! সঠিক নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে তিনটি 'D' মেনে চলতে হবে।


১. **ডায়েট বা খাবার—** মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় খাবার কমিয়ে সুষম খাবার খেতে হবে।

২. **ডিসিপ্লিন বা শৃঙ্খলা—** প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করতে হবে।

৩. **ডক্টর বা চিকিৎসক—** নিয়মিত সুগার চেকআপ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।


মনে রাখবেন, সচেতনতাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। আপনার যদি উপরের লক্ষণগুলো থাকে, তবে আজই সুগার টেস্ট করান।


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং আপনার প্রিয়জনদের সতর্ক করতে শেয়ার করুন। স্বাস্থ্য বিষয়ক এমন আরও ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনে ক্লিক করুন। দেখা হবে পরের ভিডিও

তে, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ