অবশেষে জল্পনা-কল্পনার অবসান! বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে ঘটে গেল এক বিশাল পরিবর্তন। জামায়াতে ইসলামী এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন এনসিপি বা জাতীয় নাগরিক কমিটি কি সত্যিই এক হলো? কেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—এই দুই শক্তির মিলন মানেই আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় সুনিশ্চিত? আজকের ভিডিওতে আমরা জানবো এই নতুন মেরুকরণের আদ্যপান্ত এবং এর পেছনের আসল কারণ।
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম হয়েছে। একদিকে জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো, আর অন্যদিকে 'জুলাই স্পিরিট' বা তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে উঠে আসা এনসিপি। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে এই দুই দলের অবস্থান এবং একে অপরের প্রতি নমনীয়তা সবার নজর কেড়েছে। রাজনৈতিক মাঠে জোর গুঞ্জন—আগামী নির্বাচন বা রাষ্ট্র সংস্কারে এই দুই শক্তি একটি 'কৌশলগত ঐক্য' গড়ে তুলছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর এনসিপি তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিশাল প্রভাব বিস্তার করেছে, বিশেষ করে যারা প্রচলিত রাজনীতির বাইরে নতুন নেতৃত্ব চায়। অন্যদিকে, জামায়াতের রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কর্মী বাহিনী এবং সুনির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দুই এর সংমিশ্রণ ঘটলে তা হবে ভোটের মাঠে এক অজেয় শক্তি।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন বলা হচ্ছে এই ঐক্যে বিজয় নিশ্চিত?
প্রথমত, এনসিপি-র মাধ্যমে জামায়াত সেই বিশাল তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে পারবে, যারা এতদিন তাদের থেকে দূরে ছিল।
দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে বিশাল ভোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে, তা ভাগ না হয়ে সরাসরি এই জোটের বাক্সে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এবং তৃতীয়ত, এককভাবে বিএনপি যে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, জামায়াত-এনসিপি এক হলে তা বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে এবং ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করবে।
ডা. শফিকুর রহমানও একাধিকবার ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোট ঘোষণা নাও হয়, তবুও আসনভিত্তিক সমঝোতা আগামী নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে।
দর্শক, আপনি কি মনে করেন? জামায়াত এবং এনসিপি-র এই ঐক্য কি সত্যিই আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার চাবিকাঠি হবে? আপনার সুচিন্তিত মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আর রাজনীতির সব এক্সক্লুসিভ খবরের জন্য আমাদের চ্যানেলটি এখনই সাবস্ক্রাইব করুন। ধন্যবাদ।

0 মন্তব্যসমূহ