"আয়নার সামনে দাঁড়ালেই কি মন খারাপ হয়ে যায়? কপালে বা গালে লাল লাল ব্রণ আর ব্রণের জেদি দাগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না? দামী ফেসওয়াশ বা ক্রিম ব্যবহার করেও কোনো কাজ হচ্ছে না?
চিন্তার কিছু নেই! আজকের এই ভিডিওতে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি '১০ দিনের স্কিনকেয়ার চ্যালেঞ্জ'। যদি আপনি ঠিকঠাক এই রুটিন মেনে চলতে পারেন, তবে মাত্র ১০ দিনেই আপনার মুখের ব্রণ কমে স্কিন হবে গ্লোয়িং এবং ফ্রেশ। তো চলুন, আর দেরি না করে শুরু করা যাক!
হ্যালো এভরিওয়ান, ওয়েলকাম ব্যাক টু মাই চ্যানেল। যারা নতুন দেখছেন, প্লিজ সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি ক্লিক করে দিন, যাতে স্কিনকেয়ারের কোনো টিপস মিস না হয়।
১০ দিনের এই চ্যালেঞ্জ শুরু করার আগে আমাদের তিনটি খারাপ অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
এক, বারবার মুখে হাত দেওয়া। আমাদের হাতে প্রচুর জীবাণু থাকে, যা ব্রণ বাড়ায়। তাই মুখে হাত দেওয়া বন্ধ করুন।
দুই, বালিশের কভার। আমরা অনেকেই মাসের পর মাস একই বালিশের কভারে ঘুমাই। আজই আপনার বালিশের কভার পরিবর্তন করুন এবং প্রতি ৩ দিন অন্তর এটি ধোয়ার চেষ্টা করুন।
এবং তিন, চিনি ও তেলজাতীয় খাবার। আগামী ১০ দিনের জন্য ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত চিনি খাওয়া একদম বন্ধ রাখতে হবে।
এখন আসি মেইন রুটিনে। ব্রণ দূর করতে আমরা একটি জাদুকরী ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করবো।
এর জন্য আপনার লাগবে–
১ চামচ নিম পাতার গুঁড়ো বা পেস্ট, কারণ নিম অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে।
হাফ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা।
এবং পরিমাণমতো গোলাপ জল বা অ্যালোভেরা জেল।
সবগুলো উপাদান মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিম এবং হলুদ ব্রণের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে দারুণ কাজ করে।
মনে রাখবেন, শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের না হলে ব্রণ কমবে না। তাই আগামী ১০ দিন আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে। বিশ্বাস করুন, শুধু পানি পান করলেই আপনার স্কিনের ৫০% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বোনাস টিপস! যদি ব্রণ খুব ব্যথাযুক্ত হয় বা লাল হয়ে থাকে, তবে একটি সুতি কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে আলতো করে ব্রণের ওপর ম্যাসাজ করুন। এটি ব্রণের ফোলা ভাব কমাবে এবং পোরস টাইট করবে। আর হ্যাঁ, কখনোই নখ দিয়ে ব্রণ খোঁচাবেন না! এতে স্থায়ী দাগ বসে যেতে পারে।
বন্ধুরা, এই রুটিনটি মাত্র ১০ দিন মেনে চলুন এবং ১০ দিন পর আপনার স্কিনের কী পরিবর্তন হলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। দেখা হবে পরের ভিডিওতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন, সুস্থ
থাকুন। আল্লাহ হাফেজ!"


0 মন্তব্যসমূহ