আশুরার রোজা: ফজিলত ও নিয়মাবলী

 


### **আশুরার রোজা: ফজিলত ও নিয়মাবলী**


মহররম মাসের দশম দিন, যা 'আশুরা' নামে পরিচিত, মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ, যা স্বয়ং আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পালন করতেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করতেন।


#### **আশুরার রোজার ফজিলত**


* **গুনাহ মাফ:** রাসুল (সা.) বলেছেন, "আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছরের (ছোট) গুনাহ মাফ করে দেবেন।" (সহিহ মুসলিম: ২৬১৭)

* **নবীজির গুরুত্বারোপ:** ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুল (সা.)-কে রমজানের ফরজ রোজা এবং আশুরার নফল রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখেননি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)

* **নবীজির নিয়মিত আমল:** উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) অনুযায়ী, নবীজি (সা.) চারটি আমল কখনো ছাড়তেন না, যার মধ্যে আশুরার রোজা অন্যতম। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)


#### **রোজার ইতিহাস**


রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর সেখানকার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখেন। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, এই দিনে আল্লাহ তা'আলা মুসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মুসা (আ.) রোজা রাখতেন। তখন নবীজি (সা.) বলেন, "আমি তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।" এরপর তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং সাহাবিদেরও রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)


#### **আশুরার রোজা কয়টি ও কবে রাখবেন?**


ইহুদিদের সংস্কৃতির সঙ্গে যেন মিলে না যায়, তাই রাসুল (সা.) আশুরার দিনের সঙ্গে মিলিয়ে আগে বা পরে আরও একটি রোজা রাখতে বলেছেন।


**এ বছর (২০২৫ সাল মোতাবেক ১৪৪৭ হিজরি) আশুরার রোজা রাখার তারিখ:**


* **আশুরা (১০ মহররম):** ৬ই জুলাই, রবিবার।

* **দুটি রোজা রাখতে চাইলে:**

    * **৫ ও ৬ জুলাই (শনিবার ও রবিবার)** অথবা,

    * **৬ ও ৭ জুলাই (রবিবার ও সোমবার)** রোজা রাখতে হবে।

Post a Comment

0 Comments