কুমিল্লা বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার পক্ষে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।

 কুমিল্লা বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার পক্ষে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এগুলো হলো:

  1. ভৌগোলিক সুবিধা:
    কুমিল্লা শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি একটি কৌশলগত স্থানে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা দেশি ও বিদেশি যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  2. জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক ভূমিকা:
    কুমিল্লা জেলা একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবাসী। এ বিমানবন্দর চালু হলে প্রবাসী এবং স্থানীয় মানুষের ভ্রমণের সুবিধা বাড়বে।

  3. ইপিজেড ও বাণিজ্যিক সুবিধা:
    কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (EPZ) বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। বিমানবন্দর চালু হলে এই অঞ্চল আরো বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।

  4. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও বাণিজ্যের প্রসার:
    কুমিল্লা ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী জেলা। বিমানবন্দর চালু হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ বাড়বে।

  5. অবকাঠামোগত সুবিধা:
    বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত হলেও এর বেশিরভাগ অবকাঠামো এখনও কার্যকর অবস্থায় রয়েছে। রানওয়ে, কন্ট্রোল টাওয়ার, নেভিগেশন ফ্যাসিলিটি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি কার্যকর অবস্থায় আছে। স্বল্প বিনিয়োগে এটি চালু করা সম্ভব।

  6. অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট সংযোগ:
    রানওয়ে মেরামত এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি কলকাতা, আগরতলা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক গন্তব্যে বিমান চলাচল সম্ভব।

  7. স্থানীয় মানুষের দাবি:
    দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার জনগণ বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। এটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ভ্রমণ ও বাণিজ্যের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সুপারিশ:

কুমিল্লা বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার উদ্যোগ দ্রুত নেওয়া উচিত। এটি কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে না, বরং স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।



Post a Comment

0 Comments