আজকে আমরা এখানে আপনাদের জানাব যে আপনারা একটি ফোন কেনার আগে ফোনের কোন কোন জিনিসগুলি দেখে নেওয়া দরকার। ফোনের প্রসেসার থেকে শুরু করে স্ক্রিন সব কিছুর ডিটেলই আমরা এখানে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ডিসপ্লে
ফোনের ভাল বা বড় ডিস্পেল ফোনে কিছু বেশি ভাল করে দেখতে সাহায্য করে। ফোনের সাইজ আগে 1-5 ইঞ্চির হত এখন ফোনের সাইজ 6 ইঞ্চির বেশি হয়। ফোনের ডিসপ্লে সাইজ যত বেশি বা বলা ভাল যত বড় হয় ফোনে অনেক কাজ করা যেমন সিনেমা দেখা বা গেমিং করার মতন জিনিস গুলিও কিন্তু অনেক বেশি ভাল করে করা যায়।
ক্যামেরা
এখন ফোন কেনার আগে ফোনের ক্যামেরা কত আমরা তা দেখে নি। আসলে ফোনের ক্যামেরা কেমন হবে তা তার লেন্স আর মেগাপিক্সলা আর রেজিলিউশানের ওপরে নির্ভর করে। তাই ফোন কেনার আগে আর যদি আপনাদের ফোনের ক্যামেরা বা ক্যামেরা দরকারি হয় তবে ফোন কেনার আগে ফোনের ক্যামেরার ডিটেল দেখে নিতে ভুলবেন না।
র্যাম
বেশি র্যাম থাকলে ফোন মাল্টি টাস্কার বেশি হয়। আগের 1-3GB র্যামের ফোনের কথা ভাবুন আর এখনকার 4,6,8GB র্যামের ফোনের কথা ভাবুন যে আপনাদের আগে এই র্যামের ফোনে কাজ করতে যে সময় লাগত এখন তার থেকে অনেক কম সময়ে ভাল ভাবে ফোনে কাজ করতে পারেন। আর এখনতো 8GB 12GB র্যামের ফোনও আশা শুরু করেছে।
স্টোরেজ
ফোনের র্যামের মতন একটি ফোন কেনার আগে ফোনের স্টোরেজ বিষয়টিও দেখে নেওয়ার দরকার। আপনার ফোনের স্টোরেজ যত বেশি হবে ফোনের স্পেস বেশি হবে আর তাই ফোনে বেশি অ্যাপ বা বেশি ডকুমেন্ট সেভ থাকলে আপনার ফোন রান করতে সমস্যা হবে না।
প্রসেসার
আমরা জানি যে ফোনের খুব দরকারি জিনিস হল ফোনের প্রসেসার। আসলে একটি স্মার্টফোনের প্রসেসার ফোনের মাথার মতন। আপনার স্মার্টফোনে যত বেশি শক্তিশালী প্রসেসার থাকবে ফোন তত ভাল কাজ করবে। মানে ফোন তত স্মুথলি রান করবে। এই সময়ের প্রসেসার গুলি যদি দেখি তবে আপনারা এই সময়ে ফোনে কোয়াল্কম স্ন্যাপড্র্যাগন 845 বা এর থেকে বেশি প্রসেসার যদি পান তা হবে সব থেকে শক্তিশালী প্রসেসার। আর এই প্রসেসার ওয়ানপলাস 6 আর আসুস জেনফোন 5Z তে দেখা গেছে। আর কয়েক মাস আগে পর্যন্ত কোত্যাল্কম 835 সব থেকে শক্তিশালী প্রসেসার ছিল আর এর মানে এই যে ফোনে গুলি খারাপ তা কিন্তু নয়।
প্রসেসার স্পেসিফিকেশান
সব প্রসেসারের নিজস্ব কিছু স্পেক্স আছে যার মধ্যে একটি হল প্রসেসার কোর্স। যার মধ্যে আছে ক্লক স্পিড যার মাধ্যমে সাধারন প্রসেসার চলে। আর এখনকার প্রসেসার স্পিড হল “1.4GHz Octa-Core” বা “2.0GHz” কোয়াড কোরের মতন বিষয়। আর এখানে আপনাদের বলে রাখি যে এগুলি কিন্তু ফোনের পার্ফর্মেন্স কেমন হবে তা ঠিক করে না। তবে এটি প্রসেসারের একটি দরকারি দিক। ফোনের প্রসেসারের কোর্স বেশি হলে ভাল পার্ফর্মেন্স হয়। লোকে বলে যে সব সময়ে তেমন স্মার্টফোন বাছাই করা উচিৎ যার প্রসেসার কোর্স বেশি। কিনুত বাস্তবে ফোনের প্রসেসার কোর্স বেশি হওয়ার দরকার হয়না।
ক্লক স্পিড
এই ক্লক স্পিডের জন্যই প্রসেসার কোন কাজ তাড়াতাড়ি করতে পারে। এই স্পিড GhZ য়ে মাপা হয়। আর আজকাল এই স্পিড 2.9GHz পর্যন্ত হয়।
গ্রাফিক্স প্রসেসার ইউনিট
গ্রাফিক্স প্রসেসার ইউনিটকেই GPU বলে। আর একটি প্রসেসারের জন্য একটি GPU থাকা দরকার আর এর জন্য আপনাদের ফোনে প্রথমে এটি থাকা দরকার।
অ্যাস্পেক্ট রেশিও
ফোনের অ্যাস্পেক্ট রেশিও ছোট জায়গায় বড় স্ক্রিনের কাজ করে। ফোনের স্ক্রিন সাইজের লম্বা আর চওড়ার বিষয়টি দেখে। আগে যেখানে ফোনে 16:9 অ্যাস্পেক্ট রেশিও ছিল তেমনি এখন ধিরে ধিরে 20.9 অ্যাস্পেক্ট রেশিও দেখা যাচ্ছে.
প্যানেল টাইপ
আমরা জানি যে ফোনের প্যানেল টাইপের মধ্যেই আছে AMOLED, Supar AMOLED বা অপ্টিক AMOLED য়ের মতন বিষয় গুলি যা আসলে সবই OLED প্রযুক্তির আলাদা আলাদা ভেরিয়েন্ট। এবার আপনার কোন ধরনের প্যানেলের ফোন দরকার তাই এখানে দেখার।
ফোনের ডিসপ্লের আরও একটি অঙ্গ হল ফোনের রেজিলিউশান। বেশি রেজিলিউশানের ডিসপ্লে আর কম রেজিলিউশানের ডিসপ্লের তুলনায় বেশি ব্যাটারি শেষ করে।
HDR আর নন HDR
এটি এমন এক অভিজ্ঞতা যা আপনাদের বাকি অভিজ্ঞতার থেকে একদম আলাদা। এটি স্মার্টফোনের পার্ফর্মেন্সকে ভাল করে HDR ডিসপ্লে বেশি সুবিধা দেয় আর আপনাদের এই সময়ে নেটফ্লিক্স আর প্রাইমের ভিডিও যা এই ফর্মে আসে তা দেখতেও বেশি সুবিধা দেয়।
ব্যাটারি
ফোনের শক্তিশালী ব্যাটারি যে ফোনের দরকারি জিনিস তা আমরা জানি। আর এর সঙ্গে এখন ফোনের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সঙ্গে ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি ফোনের বড় আর শক্তিশালী ব্যাটারি গুলিকে চার্জ করার সময় কম নেয়। আর এর জন্য ফোনের ব্যাটারি সঙ্গক্রান্ত ঝামেলাও কম হয়।
0 Comments